নিজস্ব প্রতিবেদক:: ২য় দফায় বিএনপি-জামায়াতের ডাকা অবরোধের প্রথম দিনে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং করছেন অবরোধকারীরা। সকাল থেকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কসহ বিভিন্ন সড়কে মাথায় হেলমেট ও মুখে গামছা বেঁধে নেতাকর্মীদের পিকেটিং করতে দেখা গেছে। তবে বেলা বাড়ার সাথে সাথে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। তাছাড়া পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহীনির টহল থাকায় তেমন কোন নাশকতার খবর পাওয়া যায়নি।
রোববার (৫ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ আঞ্চলিক সড়কের পারাইরচক জলকরকান্দি এলাকায় একটি খাদ্যপণ্যবাহী পিকআপ ভ্যানে আগুন দেয় বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীরা। এসময় পুলিশ ধাওয়া করে এক পিকেটারকে পাকড়াও করে।
জানাযায়, প্রথমে ঢিল ছুঁড়ে পিকআপটির গতিরোধ কওে পিকেটাররা। পরে গাড়িতে পেট্রোল বোমা ছুঁড়ে। এসময় গাড়ির সামনের অংশ পুড়ে যায়। তবে খবর পেয়ে দক্ষিণ সুরমা ও মোগলাবাজার থানাপুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ধাওয়া করে একজনকে আটক করে। তাৎক্ষণিকভাবে আটককৃতের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
এর আগে সকাল ৭টার দিকে দক্ষিণ সুরমার লালাবাজার এলাকায় সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ইট ছড়িয়ে-ছিটিয়ে পিকেটিং করেন নেতাকর্মীরা। উপজেলা বিএনপি ও জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের ১৫-২০ জন নেতাকর্মী রাস্তার পাশে রাখা মানুষের ইট নিয়ে ভেঙে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কে ছড়িয়ে দেন। এসময় তাদেরকে সরকারবিরোধী বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়। একই সময়ে সিলেট-জকিগঞ্জ সড়কের মালিপুর ও কাজলশাহ এলাকায় বিএনপি-জামায়াতের কয়েকজন নেতাকর্মী গাছ ফেলে ও শুকনো ডালে আগুন ধরিয়ে পিকেটিং করেন।
সকালে বিয়ানীবাজারে হেলমেট পরে রাস্তায় গাছের গুড়িতে আগুন দেয় বিএনপি কর্মীরা। এছাড়া সিলেট মহানগরের খাদিমনগরে পিকেটাররা গাড়ি ভাঙচুর করতে শুরু করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে তাদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে যায়। অপরদিকে, সিলেট-তামাবিল সড়কের জাফলং এলাকায়ও একটি অটোরিকশা ভাঙচুর করেন পিকেটাররা।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) মো. আজবাহার আলী শেখ বলেন, অবরোধ চলাকালে যেকোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। মহাসড়কসহ নগরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মানুষের জানমালের নিরাপত্তার জন্য যেকোন সেবা দিতে প্রস্তুত রয়েছে তাঁর বাহিনী।